• ফ্রেশ ফ্লেশ


    অবাক নয়, সবাক হয়েছেন এখানে কিছু নবীন কবি। তারুণ্যের প্রাচুর্য এবং স্নিগ্ধতায় টাটকা কবিতার আস্বাদ। নতুন কবিদের হাতে বাক ১১২-এর ভার। এই আবহে আপনিও নতুন করে ফ্লেশের ফ্রেশনেসের সাক্ষ্মী হয়ে যান।

  • সম্ভাবনা


    যা প্রায় সম্ভব না, তা করার ক্ষমতা ? উঁহু। যা প্রায় সম্ভব না, তা করার প্রবল ইচ্ছে এবং প্রবল উপায়। সম্ভাবনা কুঁড়ি নয়, যে ফুল হয়ে ফুটবে এক দিন। বারুদ, যে কোনদিন দহন সম্ভব। বাক ১১২ এর সম্ভাবনা চিনে নিন, প্রিয় ও অপ্রিয়।

  • স্বাগত সাক্ষাত


    প্রত্যেক কবিতার সাথে এগিয়ে এসে সাক্ষাত করার উপায় তো আন্তর্জাল দিয়েছে। আর ইচ্ছেটা আপনার। আপনি স্বাগত, পাঠক।

  • “সোনার হরিণ”


    সন্ধান করুন। বাক ১১২ – তে। শুভ মৃগয়া।


    স্লাইডে ব্যবহিত ছবি ঋণ- রেনেসাঁ

Thursday, July 20, 2017

রানা বসু

পাখা চালালে
অতীতের সব কথা সামনে এসে পড়ে
বাবার (মৃত্যু) যোগ
স্ট্রোক - [ ব্রেন ] - ক্যান্সার
ফিরে আসা-যাওয়া
ঘর ঘরের দালান
সাইকেল - স্পোক - দেয়াল ঘড়ি
আর শ্মশানকেন্দ্রিক সভ্যতা


বেঁচে থাকা একটা কালো দাগের মতো
মরে যাওয়া সাদা
কিন্তু কালো খাতার প্রচলন কোথাও নেই


একজন বীমা এজেন্ট
রাস্তার পাশে কোনও বাড়ির
অন্ধকার দরজার পিছনে দাঁড়িয়ে
কী করতে পারে
একটা পেনসিলবক্সে পেন রাখা তো
আরও
হার্বেরিয়াম সীটের মত
বইয়ের ভিতরে কন্ডোম রাখলে
কিছুদিন পরে বেরিয়ে পড়ে
রাতে ডায়াবেটিসের হার বেড়ে যায়
সেইসব রুগীদের
যারা বীমা এজেন্ট ছিল
পেন্সিলবক্সে পেন রাখত
বা বইয়ের ভিতর যাদের
কন্ডোম রাখা ছিল
হার্বেরিয়াম সীট দখলের পর
চারিদিকে শুধু
ক্রীম ক্র্যাকার আর
লাল পিঁপড়ের দল


গোল একটা দাগ
যেখানে বৃত্ত বা গোলক
ধারণা নেই
বা থাকলেও যা
বিদ্যুৎ থাকা না-থাকার
ওপর নির্ভর করে না
রোজকার রুটিন ব্যাহত হয়
লিকার চা-এর টানাপোড়েনে
সেখানে দাগের গোল থাকতে পারে
গোলের কোনও দাগ নেই


রক্ত চলাচল অসভ্য হয়ে উঠছে
সকালবেলা বৃষ্টির মতো অশালীন কিছু নেই
বিধবারা কারেন্ট চলে যাওয়ার মত হয়
শিরা দিয়ে নেমে আসছে ধাতু
রক্ত
রক্ত চলাচল অসভ্য হয়ে উঠছে
সকালবেলা
স্বপ্নের মত সুখ হয় না
সুখ উড়ে যাচ্ছে
শরীরে ডানা নিয়ে
স্বপ্ন খসে পড়ছে
বাতাসে ঘষা লেগে
আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে
রিকশায় করে বাড়ি ফিরছে পরীরা

বড়মামা মারা যাবার পর মায়ের বৈধব্য বেড়েছেকারণ মামা সেচ অফিসে কাজ করতআমাদের পুকুরের জল বছরের কোন সময়ে বাড়া উচিত, তা বড়মামাই শিখিয়েছিলসেই সময়মত আমাদের রান্না বাসনমাজা জল তোলা বা ফেলা গাছ লাগানো হতবড়মামা মারা যাবার পরদিন থেকে পুকুরের জল বড়মামার কথামত বাড়ছে বা কমছে না আরবড়মামা বাঁশ ছুলে কত কিছু বানাতবাঁশগুলো নুয়ে পড়ছে বৃষ্টিতে...
বৃষ্টি সমানভাবে পড়ছে যেমন বাবা আর বড়মামা বয়সের অনুপাত মেনে 'দিনের পার্থক্যে খড়কুটোর মত উড়ে গেলমহাকাশের তুলনায় ওরা এতই ক্ষুদ্র (ছোট নয় কিন্তু), যে আর খুঁজে পাওয়া গেল নাঅথবা, থিয়োরী অব রিলেটিভিটি অনুযায়ী ওরা যে ডায়মেনশনে আছে তা ম্যাচ করছে না...

My Blogger Tricks

6 comments:

  1. এই তো এই তো... এক দুটো লাইন তুলে কিছু বলব না।শুধু এটাই চেয়েছিলাম রানা দার থেকে, পেলাম কিছুটা... আরও অনেক পাওয়ার আছে...।@ অভিষেক ঘোষ

    ReplyDelete
  2. চমকে যাওয়ার মতোই কলম সকাল বেলার বৃষ্টির মতোন সত্যিই অশালীন কিছু হয়না

    ReplyDelete
  3. জিয়ল মাছের ন্যায় এই কবিতা

    ReplyDelete
  4. আপনার আগের কবিতা থেকে টোটালি আলাদা অনুভূত হলো।

    ReplyDelete