• ফ্রেশ ফ্লেশ


    অবাক নয়, সবাক হয়েছেন এখানে কিছু নবীন কবি। তারুণ্যের প্রাচুর্য এবং স্নিগ্ধতায় টাটকা কবিতার আস্বাদ। নতুন কবিদের হাতে বাক ১১২-এর ভার। এই আবহে আপনিও নতুন করে ফ্লেশের ফ্রেশনেসের সাক্ষ্মী হয়ে যান।

  • সম্ভাবনা


    যা প্রায় সম্ভব না, তা করার ক্ষমতা ? উঁহু। যা প্রায় সম্ভব না, তা করার প্রবল ইচ্ছে এবং প্রবল উপায়। সম্ভাবনা কুঁড়ি নয়, যে ফুল হয়ে ফুটবে এক দিন। বারুদ, যে কোনদিন দহন সম্ভব। বাক ১১২ এর সম্ভাবনা চিনে নিন, প্রিয় ও অপ্রিয়।

  • স্বাগত সাক্ষাত


    প্রত্যেক কবিতার সাথে এগিয়ে এসে সাক্ষাত করার উপায় তো আন্তর্জাল দিয়েছে। আর ইচ্ছেটা আপনার। আপনি স্বাগত, পাঠক।

  • “সোনার হরিণ”


    সন্ধান করুন। বাক ১১২ – তে। শুভ মৃগয়া।


    স্লাইডে ব্যবহিত ছবি ঋণ- রেনেসাঁ

Thursday, July 20, 2017

শান্তনু বেজ

রুনুর টিকটিকিসমূহ

) শ্বাপদের  স্বপ্ন

"বেরিয়ে এসো অলৌকিক মেয়ে
আমার জিভের নিচে যে অক্ষর সেজে লুকিয়ে ছিলে, বেরিয়ে এসো
দেখো রাস্তায় তোমার শরীর ছেটানো  আছে
তাকে নিঁখুতভাবে দেখো, আর টোকা মারো-
মারতেই থাকো যতক্ষণ হিউম্যান রাইটস না তেড়ে আসে
ঐ পোশাকের দোকানে, সাজানোর ইচ্ছায় আর নদীর বাঁকে"---- এই কথাগুলো রুনু স্বপ্নে শুনেছিল। তারপরই ওর স্বপ্নে শ্বাপদ এসেছিল। 


) রজঃবীর্যময় আয়না

একদিন ঠিক মাঝপথে থেমে যাবে রোহিঙ্গা নজর, চোখের ভেতর হাঁটবে নূরজাহান
কোমরস্পর্শে শত চেষ্টায় থেমে যাবে মেঘের ভিতরে বৃষ্টি
যেমনটা  তুমি  আয়নায় সঙ্গমকালীন টিকটিকির চেপ্টে থাকা পাক্কা দশমিনিটকে  সহ্য করে ছিলে দাঁতে দাঁত চেপে, ততদিন তুমি প্লিজ মৃত্যুভয়ে  ভয়াবহ হয়ে যেওনা
তাদের রজঃবীর্যে তোমার আয়না ভরে উঠেছিল কাকভোরে, সেটাকে মনে রেখে তুমি বাঁচতে শেখ প্লিজ,
প্লিজ রুনু , ওটা মনে করে বাঁচতে শেখো


) ত্রহ্যস্পর্শ

মনে পড়ে,
যখন তোমার ক্ষীণতনু আঙুলের মাথায় একটিও শীতের শিশির ঘন হয়ে থাকলো না, সমস্ত তরলের মেজাজ নিয়ে হাতের তালু ভরে উঠলো জলের ফেনায়, তখন ..... হ্যাঁ, তখন তোমার মনে পড়েছিল দিল্লিতে থাকা তোমার বয়ফ্রেন্ডের কিছু প্রতিভা, কিছু উদ্ধৃতি, কিছু বালিশের স্মৃতি   এবং তখনই তোমার কিডনির সমস্যা তোমার স্মৃতিটৃতি ভেঙে দিয়ে বলতো, "  টিকটিকিগুলোকে তাড়িয়ে দাও, আর বিশুদ্ধ জল খেয়ে এসো"
আর হ্যাঁ,
একগ্লাস জল খেতে খেতে তুমি কতবার কাঁচের গ্লাস ভেঙেছো, রুনু ? পারবে না, কারণ তোমার কিডনির সমস্যা আছে
তুমি কিডনিতে বেঁচে আছো, আমি কবিতায়

আর দিল্লীর বন্ধু টিকটিকির আওয়াজে

My Blogger Tricks

8 comments:

  1. সালাম তোমায়

    ReplyDelete
  2. স্যালুট .... টিকিটিকিসমূহ।

    ReplyDelete
  3. বেশ নতুন ধরণের । তোমার আগের কবিতা থেকে আলাদা বলে মনে হলো ।

    ReplyDelete
  4. অসামান্য... শিব্দচয়ন নিয়ে বেশ কেরামতি আছে!

    ReplyDelete
  5. তোমার লেখার জন্য অপে ক্ষা করেছিলাম। তোমার লেখা পড়লে তোমাকেই ডাইরির পাতার মত পাওয়া যায়। সে কারণেই আগ্রহ বারে। @ অভিষেক

    ReplyDelete
  6. একদম ভিতরের থেকে আলো এসে পড়েছিল খাতার ওপর সেটা বোঝা গেল। মুগ্ধতা।

    ReplyDelete
  7. আপনার তিনটি লেখাই ভালো হৃদয় তান্ত্রিক । খ কবিতার প্রথম লাইন এ মাঝপথে টা মাঝপথ হলে লাইন টা আরেকটু ছ্ড়াতো । আপনার লেখা খুব সম্ভাবনার । -সৌগত বালী

    ReplyDelete