রুনুর টিকটিকিসমূহ
ক) শ্বাপদের স্বপ্ন
"বেরিয়ে এসো অলৌকিক
মেয়ে
আমার জিভের নিচে যে অক্ষর সেজে
লুকিয়ে ছিলে, বেরিয়ে এসো
দেখো রাস্তায় তোমার শরীর ছেটানো
আছে
তাকে নিঁখুতভাবে দেখো, আর টোকা মারো-
মারতেই থাকো যতক্ষণ হিউম্যান রাইটস
না তেড়ে আসে
ঐ পোশাকের দোকানে, সাজানোর ইচ্ছায় আর নদীর বাঁকে"---- এই কথাগুলো রুনু স্বপ্নে শুনেছিল। তারপরই ওর স্বপ্নে শ্বাপদ এসেছিল।
খ) রজঃবীর্যময় আয়না
একদিন ঠিক মাঝপথে থেমে যাবে রোহিঙ্গা
নজর, চোখের ভেতর হাঁটবে নূরজাহান
কোমরস্পর্শে শত চেষ্টায় থেমে যাবে
মেঘের ভিতরে বৃষ্টি
যেমনটা তুমি আয়নায়
সঙ্গমকালীন টিকটিকির চেপ্টে থাকা পাক্কা দশমিনিটকে সহ্য করে ছিলে দাঁতে দাঁত চেপে, ততদিন তুমি প্লিজ মৃত্যুভয়ে ভয়াবহ হয়ে যেওনা
তাদের রজঃবীর্যে তোমার আয়না ভরে
উঠেছিল কাকভোরে, সেটাকে মনে রেখে তুমি বাঁচতে
শেখ প্লিজ,
প্লিজ রুনু , ওটা মনে করে বাঁচতে শেখো
গ) ত্রহ্যস্পর্শ
মনে পড়ে,
যখন তোমার ক্ষীণতনু আঙুলের মাথায়
একটিও শীতের শিশির ঘন হয়ে থাকলো না, সমস্ত তরলের মেজাজ নিয়ে হাতের তালু ভরে উঠলো জলের ফেনায়, তখন ..... হ্যাঁ, তখন
তোমার মনে পড়েছিল দিল্লিতে থাকা তোমার বয়ফ্রেন্ডের
কিছু প্রতিভা, কিছু উদ্ধৃতি, কিছু
বালিশের স্মৃতি এবং তখনই তোমার কিডনির সমস্যা তোমার স্মৃতিটৃতি ভেঙে দিয়ে
বলতো, " টিকটিকিগুলোকে তাড়িয়ে দাও, আর বিশুদ্ধ জল খেয়ে এসো"
আর হ্যাঁ,
একগ্লাস জল খেতে খেতে তুমি কতবার
কাঁচের গ্লাস ভেঙেছো, রুনু ?
পারবে না, কারণ তোমার কিডনির সমস্যা আছে
তুমি কিডনিতে বেঁচে আছো, আমি কবিতায়
আর দিল্লীর বন্ধু টিকটিকির আওয়াজে
সালাম তোমায়
ReplyDeleteস্যালুট .... টিকিটিকিসমূহ।
ReplyDeleteShare korte gele atke jacche
ReplyDeleteবেশ নতুন ধরণের । তোমার আগের কবিতা থেকে আলাদা বলে মনে হলো ।
ReplyDeleteঅসামান্য... শিব্দচয়ন নিয়ে বেশ কেরামতি আছে!
ReplyDeleteতোমার লেখার জন্য অপে ক্ষা করেছিলাম। তোমার লেখা পড়লে তোমাকেই ডাইরির পাতার মত পাওয়া যায়। সে কারণেই আগ্রহ বারে। @ অভিষেক
ReplyDeleteএকদম ভিতরের থেকে আলো এসে পড়েছিল খাতার ওপর সেটা বোঝা গেল। মুগ্ধতা।
ReplyDeleteআপনার তিনটি লেখাই ভালো হৃদয় তান্ত্রিক । খ কবিতার প্রথম লাইন এ মাঝপথে টা মাঝপথ হলে লাইন টা আরেকটু ছ্ড়াতো । আপনার লেখা খুব সম্ভাবনার । -সৌগত বালী
ReplyDelete