বর্ষার প্রিয় সন্ধ্যায়
জিয়লমাছের ঘোলাজলে -
ডিপফ্রিজের বর্ষাকাতর সন্ধ্যা
ইছামতী ঘাটে পাতিকাকের শোকসভায়
বিড়বিড়ানি তন্দুরের বিস্কুটের ঘ্রাণ।
খেঁকশিয়ালের
ভেঁপুতে ইস্টিমার বৈরাগী -
ঢেউয়ের শ্বাসে নিভে যায় পিদিম
দুলে ওঠে কদম ফুল, বট আর
অমরণী পাতাদের
কলিজা ঠুকে ঠুকে চুমার নির্যাতন।
বৈঠাবিহীন সাম্পান
নদীর সিথানে মেঘহত্যার সন্ধ্যাতে
বৃষ্টির বান্ধবীরা কামুক হয়ে যায়
পণ্যবাহী জাহাজে সারেঙের বুকে
খুলে দেয় শাড়িটির ভাঁজ -
আমি ভেসে ছিলাম বৈঠাবিহীন সাম্পানে।
খুচরো ব্যথা
ধানগোছা বড় হচ্ছে - জলও সবুজাভ
এক আয়নায় সিঁথি কেটে
মিটমিটে হাসছে
চোখে কে গুঁজেছে সবুজ
এ হলুদ দুনিয়ার!
ঝুরঝুরে বাতাসে সমুদ্রের উছলা
বকের পায়ে জলোমেঘে উড়ছে
এ দিনে যে ভেঙেছে খেলাঘর
তাকে মনে পড়ছে
নীলা, জিকির করো
তোমার মনখারাপ হলে
জিকির করো নীলা,
লুকিয়ে রেখো আমার নাম
বীজের অঙ্কুরে,
দিলের পর্দা দাও খুলে
বানবাসি মেঘ সরে যাক।
দখিনের বক ডাক দিলে
ছায়ার খোসা ছাড়িয়ে,
রৌদ্রতপ্ত বালির মাঠে
শুয়ে থাকো
আমি স্নানঘাটে নিয়ে যাবো
সন্ধ্যের পরপর,
পাহাড় ধুয়া কাপ্তাই হ্রদে
দুজনে সাঁতরে বেহেশতের
দ্বার খুলবো-
এই রাত
আমি কাঁদছি না কিন্তু জল পড়ছে
থুৎনি বেয়ে ওলের কম্বলে
হয়তো রেল ইস্টিশন পেরিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে
খুব। গাড়ি- ঘোড়া কিছু নেই।
ছাতা নিয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ
টর্চের আলোয় ঝলসে যাচ্ছে ধবধবে নারীর
পা- যুগল। হয়তো ভিজছে ছাতা ফেলে
বৃষ্টির জলসায়
ভায়োলিনের সুরে হারিয়ে যাচ্ছে রাতের ট্রেন
বিষণ্নতার বৃক্ষে থোকা থোকা ফুল
ঝরছে ডাকঘরের উঠোনে
রেলওয়ে পুলিশ ঢুকছে চিপাগলির ঝলির ভেতর।
কয়েকটা মাছের আকুলি বিকুলি
শহরজুড়ে উদোম মুদ্রার নাচন,প্রেমিকার বুকেও
এক ফুটো জল। হয়তো নিশির শিশির।
এই রাত আর ফুরোয় না হাজার বছরে।
ভালো লাগল।
ReplyDelete